ভগবান যে সত্যি আছেন তা মানুষ বুঝবে কি করে?
মানুষের বোঝা, না বোঝার উপর ভগবানের অস্তিত্ব নির্ভর করে না। সৃষ্টি যখন আছে তখন স্রষ্টার নিশ্চয়ই অস্তিত্ব আছে।
আমরা যে কাপড় চোপড় ব্যবহার করছি, আসবাস পত্র ব্যবহার করছি সেগুলি নিশ্চয় কেউ না কেউ বানিয়েছে। অতএব আমরা কখনও বলতে পারি না যে, এগুলির নিমার্তা কেউ নেই।
যখন কেউ কোন ব্যক্তি বা স্থানের ছবি বা নকসা দেখায়, সেই ব্যক্তি বা স্থানের বর্ণনা দেয়, সেই ব্যক্তির বা স্থানের নানাবিধ কাহিনী আমরা শুনতে পাই, তখন সেই ব্যক্তি বা স্থান আমরা না দেখলেও তার অস্তিত্ব আমরা হৃদয়ঙ্গম করি।
আমরা নিউইয়র্ক বা আফ্রিকা কোনদিন না দেখলেও তা আছে বলে সহজেই স্বীকার করে নিই। আমরা প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতিকে না দেখলেও না যোগাযোগ রাখলেও তাঁরা যে আছেন তা স্বীকার করে নিই।
এই যদি সত্য হয় তবে বিশ্বস্রষ্টা পরমেশ্বর যে কেউ একজন আছেন সেই কথাটি কেন সত্য হবে না- যখন মুনিঋষিগণ ভক্তগণ ভগবানের ধাম নাম রুপ গুন লিলাবিলাসের যাবতীয় কাহিনী ও চিত্র নকসা প্রদান করে গেছেন?
অবশ্য ভগবান বলেছেন-ভক্ত্যা মাম অভিজানাতি-ভক্তরা আমাকে জানতে পারবে। কিন্তু মূঢ়োহয়ং নাভিজানাতি- গন্ডভূর্খেরা আমাকে কিছুতেই জানতে পারবে না।
মনের ভিতরে কোন সংশয় বা সন্ধেহ না রেখে সবাই যুগধর্ম হরিনাম সংকীর্তন করুন।
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে ।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে ।।
Post a Comment